শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর
পড়া না পারায় ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার

পড়া না পারায় ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার

 

 

 

 

 

 

কালের খবর ডেস্ক :

পড়া না পারায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর কাছ থেকে চুমুর আবদার। ছাত্রী তাতে নারাজ হলে শাস্তিস্বরূপ ২৫০বার কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পকসো আইনে রুজু হয়েছে মামলা। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক অতনু দাশগুপ্তকে।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, সোমবার পঞ্চম শ্রেণির পড়–য়াদের ওই শিক্ষক বলেন, ‘পড়া না পারলে চুমু খেতে হবে।’ শিক্ষকের ভয়ে কয়েকজন ছাত্রী তাঁকে চুমু খায় বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু ছাত্রীটি এতে আপত্তি জানায়। অভিযোগ, এর শাস্তি হিসাবে তাকে ২৫০ বার কান ধরে ওঠবস করার নির্দেশ দেন অতনু। ১১০ বার ওঠবসের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। বাড়িতে অসুস্থতার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে অন্য স্কুলে ভরতি হওয়ার কথা বলে। এতেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। যার জেরে সহপাঠীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারে ছাত্রীর পরিবার। মঙ্গলবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্নেহের বশে তিনি চুমু চেয়েছিলেন। ছাত্রীরা বিষয়টিকে অন্যভাবে নিয়েছে। যদিও তাঁর এই যুক্তি কেউ মেনে নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, বলে দাবি করে কাউন্সিলরকে মুচলেকা দেয় ওই শিক্ষক। পরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ছাত্রীর মা। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে তার অভিযোগও নেন তদন্তকারী অফিসার। ওই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পকসো আইনে অভিযুক্ত ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানা। তারপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, গত আড়াই মাসে এ নিয়ে পঞ্চম বার কলকাতার কোনও স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। জি ডি বিড়লা, কারমেল কাণ্ডের স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। বেহালার বাসুদেবপুর হাই স্কুলের এই ঘটনা ফের চিন্তায় ফেলল অভিভাবকদের।

কালের খবর  /২১/২/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com